প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের আজাইপুর গ্রামে ১৯১৪ ইং সালে জনাব মোঃ মুনির উদ্দীন পন্ডিত সাহেব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্ঠায় গড়ে উঠেছে অত্র বিদ্যালয়। পরবর্তীতে এম.ই স্কুল ও ১৯৬৩ সালে নি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে নবম ও দশম শ্রেণি খোলার জন্য ২ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত সেই বছরও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে অত্র বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৮৬ জন, সপ্তম শ্রেণিতে ৬১ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৭৪ জন, নবম শ্রেণিতে ৬২ জন এবং দশম শ্রেণিতে ৭৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ণরত আছে। শিক্ষার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলও বেশ সন্তষজনক। ১৩ জন শিক্ষক আন্তরিকতার সাথে শিক্ষাদান করে আসছে। এছাড়াও একজন অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার ও ২ জন অফিস সহায়ক যথাযথ দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ টি ভবণ রয়েছে। একটি একতলা পুরাতন ভবণ, একটি দ্বিতলা ভবণ এবং একটি ৪ (চার) তলা বিশিষ্ট ভবণ রয়েছে। একতলা পুরাতন ভবণে রয়েছে সাইকেল গ্যারেজ ও স্টোরেজরুম। দ্বিতলা ভবণের প্রথম তলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারসহ লাইব্রেরী এবং ছাত্রীদের জন্য কমন রুম। ২য় তলায় রয়েছে একটি বিজ্ঞানাগার ও ৭ম শ্রেণির ক্লাসরুম। ৪ (চার) তলা বিশিষ্ট ভবণের ১ম তলায় ৬ষ্ঠ ও ১০ম শ্রেণির ক্লাসরুম, ২য় তলায় সহকারি প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের নামাজের ব্যবস্থা, প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ এবং শিক্ষক মিলনায়তন। ৩য় তলায় একটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ৮ম ও নবম শ্রেণির ক্লাসরুম। ৪র্থ তলায় রয়েছে হলরুম। এছাড়াও প্রতিটি তলায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক ওয়াশবøকের ব্যবস্থা । সম্প্রতি অত্র বিদ্যালয় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস স্কিম সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা অনুদান পেয়েছে। উক্ত টাকা থেকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতী, লাইব্রেরীর জন্য বিভিন্ন প্রকার বই, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য হুইল চেয়ার, স্টিক ক্রয়, গরিব ও সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রনোদনা প্রদান করা হয় যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহয়তা করেছে। শংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করে আসছে। বর্তমানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। আশা করি উহা অতি শীঘ্রই পেয়ে যাব।